 |
সারা বিশ্বের ন্যায় পর্যটন জেলা কক্সবাজারেও বুধবার পালিত হবে বিশ্ব ভালবাসা দিবস। প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিশুদ্ধ ভালবাসায় কারো মনে আনন্দ উচ্ছ্বাস আর আরো মনে থাকবে বাধভাঙ্গা বেদনার সুর। আনন্দ হউক কিংবা বেদনা বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসবে প্রেমিক জুটি আর পর্যটকদের মিলন মেলা। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি নয়, ভালবাসার টানে সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াবে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকল বয়সের নর-নারীরা। সমুদ্র সৈকতের সারি সারি ঝাউবাগানের মাঝে আর সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসে প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে ফুল আর উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের মাঝে লুকিয়ে থাকা দীর্ঘদিনের সুখ-দুঃখ আর আনন্দ-বেদনার কথা ভাগাভাগি করে নেবে। পাশাপাশি পর্যটকরাও ভালবাসা দিবস উদ্যাপনের জন্য প্রধান জায়গা হিসেবে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে বেছে নিয়ে আসবে ভালবাসা দিবস পালন করা জন্য। তবে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর থেকে চলা বিএনপির নানা কর্মসূচির কারণে এবার পর্যটক আগমন বেশি নাও হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু সমুদ্র সৈকত নয় ভালবাসা দিবসের আনন্দ ছড়িয়ে যাবে ইনানী পাথুরে বীচ, হিমছড়ির অপরুপ ঝর্ণা, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, আদিনাথ মন্দিরের অপরুপ সৌন্দর্য্যে, রামু বৌদ্ধ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক থেকে শুরু করে দর্শণীয় স্থানগুলোতে। এদিকে ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকত ও এর আশপাশের এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কাক ডাকা ভোরে শুরু হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবসের রজনী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাকে, ছেলে মাকে, মা-বাবা সন্তানদের এবং ভাই-বোনের মধ্যে থাকবে প্রাণঢালা ভালবাসার আবেগ। যে আবেগের মাঝে হারিয়ে যাবে সকল প্রাণ। প্রেমিক প্রেমিকাকে, মা ছেলেকে, ছেলে মা-বাবাকে লাল গোলাপ, রজনী গন্ধার ষ্টিক, সোনার আংটি কিংবা চেইন আবার বিভিন্ন দামের কার্ড কিংবা উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার মাধ্যমে উদ্যাপন করবে ভালবাসা দিবস। একে অপরের ভালবাসার আবেগ বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে হারিয়ে যাবে অতয় ভালবাসার জলে আর আগামী বছরের এমন দিনটার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনার অপেক্ষা করবে।