 copy20181010102034.jpg) |
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে রাজশাহী নগরীতে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। আদালতের ঘোষিত রায়ে আওয়ামী লীগ সন্তোষ প্রকাশ করলেও তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় পূনরায় আপিলের মাধ্যমে তারেকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি। আর রায় প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন। একই দাবিতে রাজশাহী নগরীতে বৃহস্পতিবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
বুধবার রায় ঘোষণার পর পরই সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ। নগরীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে।
পথসভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে তারেক রহমানের ফাঁসি আশা করেছিলাম। তাহলে শহীদদের আত্মা শান্তি পেত। এই রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। না হলে দেশে যদি আবারও মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতবিরোধী চক্র ক্ষমতায় আসে তাহলে এ রায় বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হুদা রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ ও অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে রায় ঘোষনার পর তা প্রত্যাখান করে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও অলোকার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন তারা শান্তিপূর্নভাবে সেখানেই তাৎক্ষনিক সমাবেশ করেন। নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেনেড হামলা রায় বিএনপি এবং দেশের জনগণ মেনে নেয়নি, আগামীতেও নেবেনা। সরকার সম্পুর্নভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে আগামীর রাষ্ট্রনায়ককে গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িয়ে সাজা প্রদান করেছে। কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই রাজনীতি থেকে জিয়া পরিবারকে বিতাড়িত করতেই বিচারের নামে প্রহসনের এ রায় প্রদান করা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে তারেক রহমান বা কোন বিএনপি নেতার সম্পর্ক নাই উল্লেখ করে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশের সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন বক্তারা।
অন্যদিকে, নগরীর অলোকার মোড়ে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশী বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।