নিখোঁজের একদিন পর রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আনিসুর রহমান (৪২) নামে এক কৃষিশ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহত আনিসুর ওই উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বজলুর রহমান মাস্টারের আমবাগানে গলাকাটা লাশটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের প্রাথমিক সুরাত হাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে মনিগ্রাম বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলেও রাতে বাড়িতে না ফেরায় নিখোঁজ আনিসুরের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় নিহত আনিসুরের স্ত্রী পারভীন খাতুন জানান, শুক্রবার বিকালে মনিগ্রাম হাটে যায় আনিসুর। কিন্তু রাতে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া হয়। পরে শনিবার সকালে লোক মারফত জানতে পারি বজলু মাষ্টারের আমবাগানে তার গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। শোকে কাতর আনিসুরের স্ত্রী বলতে থাকেন, তাদের সংসারে দুই মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে আল্পনা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার (তালাক) পর থেকে পিতা-মাতার সঙ্গেই বসবাস করেন। আর ছোট মেয়ে মদিনা খাতুনের বয়স সাত এবং ছেলে সোহাগ হোসেনের বয়স এক বছর। এখন সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিনাতিপাত করবেন ভেবে দুঃশ্চিন্তায় কান্নারত অবস্থায় বলছিলেন নিহতের স্ত্রী পারভীন।
পরিবার ও এলাকাবাসীর ঊদৃতি দিয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, আনিসুর একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। আর কৃষক আনিসুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত এবং কেন তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে খুব শিগগিরই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি প্রণব কুমার।