কাঁঠালিয়া উপজেলা অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বৃহস্পতিবার জেল হাজতে যাওয়া ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরকে প্রধান আসামী করে ৫৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নামে রাজাপুর থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বেশকিছু অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৫)। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন। বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাহান ওমর তার রাজাপুরের গ্রামের বাড়িতে আসার পথে রাজাপুরের উত্তর পিংড়ি এলাকায় তার বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা এবং তার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে তিনি আহত হন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে শাহজাহান ওমরকে কাঠালিয়া থানা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও মারধরের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে জেল জাহতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুক্রবার রাতে রাজাপুর থানায় এজাহার হওয়া মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন শহীদ জিলানী মিলন মাহমুদ (বাচ্চু মৃধা), রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জিয়া হায়দার খান লিটন, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাসান বাপ্পি মৃধা, কাঁঠালিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আঃ জলিল মিয়াজি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজাপুর শাখার চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোঃ সুমন সিকদার, বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহাব উদ্দিন সুরু মিয়াসহ ৫৩জন। এছাড়াও ১৫০জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাইপাস মোড় এলাকায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় সংগঠনের কর্মী সমবেশ উল্লেখিত আসামীরা লোহার রড, হকস্টিক, জিআই পাইপ, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, স্যনা, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য গেটেলসহ দেশিয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে পার্টি অফিসের সামনে উপস্থিত হয়ে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়।
মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে তৎকালীন সময়ে এক দলীয় স্বৈরশাসন ব্যাবস্থা থাকায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান দেশে সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক পরিবেশ হওয়ায় এবং সু-শাসন ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে মামলা দায়ের করেছি।
রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ মামলায় লাল মৃধা নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।