সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মোয়াজ্জিনের সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বরইউরি গ্রামের কোরআনে হাফেজ মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান জানান, তার পিতা মরহুম আব্দুল বারিক ১৯৭৫ সালে পৃথক দুটি দলিলের মাধ্যমে বরইউরি মৌজার ১৩২ নম্বর খতিয়ানের ১৬২ ও ১৬৩ দাগে মোট ৫৬ শতক ভূমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে পরিবারটি নিয়মিতভাবে ওই জমি ভোগদখল করে আসছে এবং খাজনাও পরিশোধ করছে। পিতা মারা যাওয়ার পর ২০০৩ সালের মাঠ জরিপ ও ছাপা খতিয়ানেও জমিটি মিজানুর রহমানের নামে রেকর্ড হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, উস্তেঙ্গেরগাঁও গ্রামের মৃত রেজু মুন্সির পুত্র ও বরইউরি বহুমুখী আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ওহিদুল ইসলাম তার ভাই-বোনদের নিয়ে ওই ৫৬ শতকের মধ্যে প্রায় ১৫ শতক ভূমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা দখলকৃত জমির সব গাছপালাও কেটে নিয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও প্রমাণও তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন মিজানুর।
ওহিদুল ইসলামের সহযোগী হিসেবে তার ভাই জাকির হোসেন, দিলওয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, হাফিজ সুলতান মাহমুদ ওরফে আঙ্গুর মিয়া, বোন বিলকিস বেগম ও মমতা বেগমের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
মিজানুর রহমান আরও জানান, জমি রক্ষায় তিনি সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নং ৮৭/২০২৫) ও একটি পিটিশন মামলা (নং ২৩৯/২০২৫) দায়ের করেছেন। আদালত নালিশাকৃত ভূমিতে বিবাদীপক্ষকে প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন এবং হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলকৃত জমিতে অনধিকার প্রবেশ অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া, ওহিদুলের পক্ষের দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মিজানুর রহমান প্রশাসনের কাছে নিজের ও পরিবারের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ওহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।