যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী যুবলীগ ক্যাডারের পাঠানো অর্থায়নে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রেললাইনে নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) আটক ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিরা আসন্ন ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবারের) ‘লকডাউন কর্মসূচি’কে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ-মাইজগাঁও রেললাইনের স্লিপার খুলে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাটুভাঙা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে কাবিলুর রহমান সোহেল (২৪), পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন মাহিন (২০), পূর্ব ফরিদপুরের সায়মন আহমদ (২০), কায়েস্তগ্রামের মুহিবুল ইসলাম কাওসার এবং হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের সিজিল চৌধুরী।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, সোমবার গভীর রাতে কচুয়াবহর এলাকায় সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট পরিচালনা করে প্রথমে কাবিলুর রহমান সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বীকার করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিউইয়র্ক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশ ও অর্থায়নে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। লক্ষ্য ছিল উপজেলা পরিষদ, শাহজালাল সার কারখানা ও মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মতো স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম, স্কচটেপ, টোপকাটা, মারবেল ও অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, “আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। তদন্তে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।”