যশোরের মণিরামপুরে মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। পিতা উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মজিদ দফাদার (৬৫)-কে হত্যার অভিযোগে ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরবারে নামে মামলায় হওয়ায় আদালতের নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। বৃদ্ধের জামাই সাত্তার মোল্যা শ্যালক সোহরাব দফাদারের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন। রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানাযায়, জমি নিয়ে পিতা মজিদ দফাদারের সাথে ছেলে সোহরাব দফাদারের বিরোধ চলে আসছিল। বোনকে ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে জমি লিখে দিতে পিতা মজিদ দফাদারকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজি না হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পিতাকে মারপিট করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ছেলে সোহরাব। এক পর্যায় পিতার মৃত্যু হলে তড়িঘড়ি করে পরদিন ভোরে দাফন করা হয়। এতে স্থানীয়সহ স্বজনদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
পরে সোহরবারে আপন ভগ্নিপতি পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর ইউপির খাকুন্দি গ্রামের সাত্তার মোল্যা ২৯ সেপ্টেম্বর হত্যার অভিযোগে সোহরাবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নং সিআর-১১২৪/২৫ এবং গত ১১ নভেম্বর মণিরামপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। যার মামলা নং ০৪।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য রোববার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা স্থানীয় নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।