বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে দলটি কোনো মেগা প্রকল্পে যাবে না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি, তাই অর্থ খরচ করা হবে জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনবল উন্নয়নের পেছনে। তিনি এ কথা বলেন বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায়।
সভায় তারেক রহমান জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, “দেশকে বাঁচানোর জন্য ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা এখনই মানুষের কাছে পৌঁছান, যদি না পৌঁছান, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আর তা যেন আর কেউ ভোগ না করে। “মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার জন্মগত। সবাইকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সারাদেশের নারী সমাজকে সাবলম্বী করা হবে, যা অর্থনৈতিক শক্তিশালী ভিত তৈরি করবে।”
শিক্ষা ও জনবল উন্নয়নের বিষয়েও তারেক রহমান বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় ভাষাতেও দক্ষ হয়। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে, যার ৮০–৮৫ শতাংশ নারী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করলে আগামী ১০ বছর পর দেশের মানুষ সুফল পাবে।
তারেক রহমান জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সারাবছর একসঙ্গে কাজ করবে। ধীরে ধীরে কৃষি রপ্তানিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ না থাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বাজারদরে জায়গা কিনে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
তিনি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়কার মেগা প্রকল্পগুলোর উদাহরণ দিয়ে বলেন, “উন্নয়নের নামে অনেক অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো এখন সামাজিক অনুষ্ঠান বা বিবাহের মতো কাজে ব্যবহার হয়। আমরা নতুন মেগা প্রকল্প করব না, বিদ্যমানগুলো সংস্কার করে সত্যিকারের উন্নয়ন নিশ্চিত করব।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল), ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।