বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বললেন, “ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা কেবল হাদির ওপরে নয়; এ আঘাত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপরে। এ আঘাত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে, স্বাধীনতার ওপরে। এগুলো প্রতিরোধ করতে হবে।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “গুলি লাগার পরেই এক গোষ্ঠী বাড়ি ভাঙতে আহ্বান জানিয়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার পরে এই অবস্থার আরও অবনতি হয়। সুযোগ পেয়ে কিছু বেয়াদব ছেলে-পেলে বেয়াদবি করে। এরা কেউ হাদির সমর্থক নয়, একটি বিশেষ দলের কর্মী-সমর্থক।”
তিনি আরও বলেন, “মুসলমান হিসেবে কারও মৃত্যু কামনা করা যায় না। তবে মুসলমান লেবাসধারী কিছু লোক এই কাজ করেছে, হাসপাতালে ঢ়ুকেও মব করার চেষ্টা করেছে। তারা ভেবেছে তাদের ধমক দেখে আমরা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবো। তবে আমাদের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে।”
বিএনপির এ নেতা বলেন, “হাদি চাইলে আমি তাকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের প্রার্থীদের মারামারি করার কোনো রেকর্ড নেই। এই রেকর্ড আওয়ামী লীগ আর ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে’ যে দল তাদের আছে।”
হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত হাদির ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হোক। তাহলেই একটি দলের মুখোশ খুলে যাবে। হাদি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।’
হাদির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সে আমার প্রতিযোগী। হাদি আমার শত্রু নয়, হাদি রাজপথের লড়াকু সৈনিক। ওর বয়সে আমরাও রাজপথে লড়াই করেছি।”