সেনবাগের তিন ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে সেনবাগ থানা পুলিশের নিকটর সোপার্দ করেছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুর সোয়া একটার দিকে উপজেলা ফেনী নোয়াখালী ফোর লেইন মহাসড়কের ছমির মুন্সির হাট বাজারের জাহাঙ্গীর আলম কমপ্লেক্সেএ সামনে ওই গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে ধরার চেষ্ঠার সময় ছিনতাইকারীদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
গণপিটুনির শিকার তির ছিনতাইকারী হচ্ছে ঃ দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া সোনাদিয়া গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে মোঃ ইমরান (৪৫)। সুবর্নচর উপজেলার চরবাটা গ্রামের আবদুল্লাহ ছেলে মোঃ মনির হোসেন (৪৫) ও লক্ষীপুরের কমল নগর থানার চরজগবন্ধু গ্রামের নুর কবিরের ছেলে জাকির হোসেন(৩৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহী গ্রামের মোঃ সাহাব উদ্দিন, চরফকিরা চাপরাশিহাটের মোঃ শিপন এ্ববং চরফকিরা গ্রামের বাসিন্দা ও চাপরাশিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. সিয়াম জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাপারাশিরহাট বাজার থেকে একজন মহিলার সিএনজি চালিত অটোরিকশা ওঠে। এ সময় যাত্রবেশী ধৃত তিন ছিনতাইকারী ওই মহিলার নিকট থাকা স্বর্ণালকার ও টাকা পয়সা ছিনতাই করে তাকে অটোরিকশা থেকে ফেলে দেয়।এ সময় মহিলা চিৎকার শুরু করলে বাজারে থাকা লোকজন ও কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী সিএনইজ চালিত অঠোরিকশাটিকে ধাওয়া করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাদের নিকট থাকা দেশীয় অস্ত্রদিয়ে ৫/৬ মোটরসাইকেল আরোহীকে আঘাত করে আহত করে। চাপরাশিরহাট থেকে ধাওয়া করে সেনবাগের ছমির মুন্সির হাট বাজার জাহাঙ্গীর আলম কমপ্লেক্সেএর সামনে পৌছলে আলু বোঝাই একটি ট্রাকের সামনে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিটি থামলে ধাওয়া করা মোটরসাইকেল আরোহীরা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা সিএনজিতে থাকা তিন ছিনতাইকারীকে আটেক করে গনপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার ওসি আবুল বাশারের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স তিন ছিনতাইকারীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।এসময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন একটি সিএনজি চালিত অঠোরিকশা জব্দকরে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়েরে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানাগেছে।