রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও এমপি প্রার্থীদের জন্য নতুন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও এমপি প্রার্থীদের জন্য নতুন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা জারি

সরকার সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) নতুন নীতিমালা জারি করেছে, যাতে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৪ অধিশাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিতে স্বাক্ষর করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও অশান্তি রোধ করা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। এতে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া এমপি প্রার্থীরা এই লাইসেন্স এবং রিটেইনার পাবেন।

নতুন নীতিমালায় ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে স্বীকৃত উচ্চপর্যায়ের বর্তমান বা সাবেক নেতারা এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীরা অন্তর্ভুক্ত। লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের শর্ত শিথিলযোগ্য।

লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে। তবে শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে। মেয়াদ শেষ বা বাতিলের পর লাইসেন্সের বিপরীতে আগ্নেয়াস্ত্র দখলে রাখলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটেইনার নিয়োগ কেবল প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকির ক্ষেত্রে অনুমোদিত হবে। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে না। একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে, যিনি কেবল অস্ত্র বহন করবেন, লাইসেন্স পাওয়া হবে না।

রিটেইনার হওয়ার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক, ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর, অপরাধমুক্ত, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সপ্রাপ্ত এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল ফিটনেস সনদ আবশ্যক।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহনকালে সর্বদা লাইসেন্স ও অনুমোদন সঙ্গে রাখতে হবে, এটি ব্যবহার করে কাউকে ভয়ভীতি দেখানো বা হয়রানি করা যাবে না এবং নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে