বাংলা একাডেমির আট পুরস্কার পাচ্ছেন নয়জন

বাংলা একাডেমি পরিচালিত আটটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ও গবেষণা পুরস্কারের জন্য ২০২৫ সালের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ পরিষদের ৪৮তম বার্ষিক সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ বছর ঘোষিত পুরস্কারগুলোর অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত।

সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। ভাষাভিত্তিক গবেষণায় দীর্ঘদিনের অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন খসরু চৌধুরী। প্রকৃতি ও বিজ্ঞানচর্চায় সামগ্রিক কাজের মূল্যায়নে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলা কবিতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পাচ্ছেন সানাউল হক খান। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণার জন্য সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে হাফিজ রশিদ খানকে। অভিনয়, নাট্য নির্দেশনা এবং সাংগঠনিক ভূমিকার জন্য অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারিক আনাম খান।

অনুবাদ সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য আবু রুশ্দ সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন শিবব্রত বর্মন। গণিতকে সহজ ও উপভোগ্যভাবে উপস্থাপনের জন্য ‘গণিতের রাজ্যে আনন্দভ্রমণ’ গ্রন্থের জন্য হালীমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পাচ্ছেন সফিক ইসলাম।

কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সুব্রত বড়ুয়া। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সী লেখকদের মধ্যে ২০২৪ সালে প্রকাশিত ‘সিসিফাস শ্রম’ গল্পগ্রন্থের জন্য একই পুরস্কার পাচ্ছেন আনিসুর রহমান।

বাংলা একাডেমি বলছে, সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে যাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, এই পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁদের কাজকে সম্মান জানানোই মূল লক্ষ্য।