দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন-গত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ এবার আশায় বুক বেঁধে আছে যে তারা ভোট দেবেন।
তবে এখন যে পরিস্থিতি তাতে সে আশা নিয়ে চরম শংকা তৈরী হয়েছে। সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসন মনে হচ্ছে একটি দলের দিকে ঝুঁকে পরছে। এমনটা হলে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে এবারও আমরা শংকায় রয়েছি।
বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম আরও বলেছেন-দক্ষিণাঞ্চলের মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত বিভাগীয় শহর বরিশাল-৫ (সদর) আসন কোনভাবেই শরীক দল দাবী করতে পারেনা। এই দাবী অমূলক ও অযৌক্তিক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এই আসন চরমোনাইকে প্রদান করা হবে।
প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি ইসলামী সমমনা আট দল আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই সুরাহা করবে জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেছেন-বরিশাল সদর আসনে আমার বসতবাড়ি। এই আসনে আমি যদি মনোনয়ন না পাই তাহলে শরীকদের মধ্যে কে দাবী করতে পারে? এ আসনে আট দলের মধ্যে কে বেশী জনপ্রিয় ও ভোটের মাঠে এগিয়ে তা সবাই জানে। যে দল যেখানে শক্তিশালী সেখানে সেই দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করাই এটা আমাদের মূলনীতি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন-দেশের বিভিন্নস্থানে আমাদের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। ভোটের আগে যদি এখনই এমন পরিস্থিতি তৈরী হয় তাহলে পরবর্তী দিনগুলি কেমন যাবে।
সিইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন-আপনি বিগত সিইসিদের শেষ পরিনিতি কি হয়েছে তা দেখেছেন। আমরা চাইনা আপনারও সেই পরিনতি হোক। এখনো সময় আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে আসেন ও পরিবেশ তৈরী করেন।
সিনিয়র নায়েবে আমির আরো বলেন-সম্প্রতি দেখলাম কিছু প্রার্থীকে সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। যারা প্রটোকল পাওয়ার পর্যায় যায়নি তারাও এ তালিকায় রয়েছে। এটা প্রকাশ্য পক্ষপাতিত্ব।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন- আপনারা নিরপেক্ষ থাকেন। যে দেশের সাংবাদিক নিরপেক্ষ, সে দেশে কোন সরকার, প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করতে সাহস পায়না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে বাঁচাই।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।