নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্তমানে বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ির সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে নতুন নতুন মাদক সেবির সংখ্যাও । এখন অনেকটা প্রকাশ্যে শহরের বিভিন্ন স্পটে বিক্রি হচ্ছে মাদক। সেবিরাও আর কাউকে তোয়াক্কা করছে না। তারাও মাদক সেবন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে মন খুলে। কেন এমন হল তা জনমনে নানান প্রশ্নের সৃষ্ঠি করেছে।
শহরের রেললাইন ধারে বিকেল হলেই শুরু হয় মাদক ব্যবসায়ি এবং সেবিদের আনাগোনা। তারপর এখান থেকে তারা চলে যায় তাদের নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে।
বিশেষ করে তামান্না সিনেমা হলের পাশে ফাঁকা স্থানে সারাদিন চলে মাদক সেবন ও বিক্রি। শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে এখানে মাদক ক্রয় করতে আসে যুবকরা। অনেকে আবার এ স্থানটি নিরাপদ ভেবে এখানেই বসে সেবন করে থাকে।
তামান্না হলের পাশের এক ব্যবসায়ি জানান,হলের পাশে প্রতিদিন মাদক ব্যবসায়ি ও সেবিদের আখড়া বসে। অনেক সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াও বাঁধে। এরা প্রকাশ্যে দিনের বেলায় নেশাদ্রব্য বেচা বিক্রি করলেও প্রশাসনের কোন অভিযান নেই এখানে।
আরেক ব্যবসায়ি জানান,এখানে মাদক ব্যবসা করে মুন্সিপাড়া হরিজন কলোনীর মালুয়ার ছেলে সুজন,রনি পিতা অজ্ঞাত, ছোটলালের ছেলে নওসিবা,আবুল হোসের ছেলে শাহজাদা,পলাশ, হাতিখানা থেকে এসে ব্যবসা করে কৃষ্ণাসহ অনেকে। এরা মাদকসহ পেনটাটল ট্যাবলেট বিক্রি করে। এদের মধ্যে ডিলার হল কৃষ্ণা।
এদিকে ইয়াবা, ফেন্সিডিল,মদ, ট্যাবলেট বিক্রির ডিলার হল টিংকুয়া ও দীপকের স্ত্রী চাঁদনী। এদের সাথে বিকিয়ার ছেলে অজয়,বিশ্বনাথের ছেলে রকি,রাজকুপের ছেলে দূর্জয়,টিংকুয়ার ছেলে মংরু ও তার ভাই জুম্মন,সঞ্জয়সহ অনেকে।
এরা শহরের চিহ্নিত মাদক সেবনকারি থেকে এখন হয়েছে ব্যবসায়ি।
এদের কারণে মুন্সিপাড়া হরিজন কলোনীর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসির প্রতি অনুরোধ করেছেন হরিজন কলোনীর সচেতন নাগরিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে এদের ব্যবসা চলে আসলেও কারো যেন কোন মাথা নেই।
মাদকদ্রব্য কার্যালয়টি যখন সৈয়দপুরে ছিল তখন এতো মাদক ব্যবসায়ি ছিল না। সৈয়দপুর থেকে এ অফিসটি যখন নীলফামারী চলে গেল তখন থেকে এ শহরে মাদকের কারবার বেড়ে যেতে থাকে। বর্তমানে নীলফামারী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদকের কারবার হয় সৈয়দপুরে।