আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন অবৈধ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে ১৬৫ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত আবেদন বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা হয়েছে।আবেদনকারী গোয়ালডাঙ্গা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি এসএম আব্দুল হান্নান লিখিত অভিযোগে জানান, আমরা গোয়ালডাঙ্গা বাজারে প্রায় ২০০ শতাধিক ছোট বড় ব্যবসায়ী বাজার বণিক সমিতির আওয়াতাভূক্ত। গত ৩০ নভেম্বর গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির আয়-ব্যায়ের হিসাব-নিকাশের কথা বলে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন পুরাতন কমিটির সম্পাদক মোঃ মহিরউদ্দীন ফকির। কিন্তু ওই মিটিংয়েই তিনি নতুন কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্র করেন। তাই বিধি মোতাবেক পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করে, কোন এডহক কমিটি গঠন না করে, এমনকি কোন মাইকিং না করে তার সমমনা কয়েক জন সদস্য নিয়ে নিজে নিজে কমিটির সভাপতি হয়ে বসেন। যা ২০০ ব্যবসায়ীর মধ্যে আমরা ১৬৫ জন ব্যবসায়ীই মানি না। সাবেক সেক্রেটারী আজহারুল ইসলাম আজগর বলেন, ৩০ নভেম্বর বাজার কমিটি গঠন করা হবে তা আমরা জানিই না। গোয়ালডাঙ্গা বাজারে কোন মাইকিং করাও হয়নি। আমার জানামতে, সরকারী বিধি অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন বাজারের সভাপতি, কিন্তু বর্তমান সম্পাদক কিভাবে বাজার কমিটির সভাপতি হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। যাতে উক্ত বাজার বণিক সমিতির কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে বিধি মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয় সে জন্য আমরা ১৬৫ ব্যবসায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে বর্তমান কমিটির সভাপতি মহির উদ্দিন ফকির জানান, আমাদের ব্যবসায়ী তিন শতাধীক। ৩০ নভেম্বর বাজার কমিটির সভায় পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য খরচ ও আয়-ব্যায়ের হিসাব করা হয়। সদস্যদের স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং পরে সকল সদস্যের অনুমতিক্রমে সভাপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ার মনোনীত এবং বাজারের সকল সেক্টরের কমিটির সভাপতিকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। যারা কমিটির বিরুদ্ধে সাক্ষর করেছেন তাদের কাছে শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের সম্পূর্ণ কথা না বলে কি পরিস্থিতিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে।