সরকারি ৯টি চিনিকল চলতি মাড়াই মৌসুমে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে। নর্থ বেঙ্গল চিনিকল লিমিটেড ১৫ নভেম্বর আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনে যাবে। আর পর্যায়ক্রমে বাকি আটটি চিনিকলও উৎপাদন শুরু করবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে চিনিকলগুলো চালুর তারিখ ঘোষণা করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গুড়, আখ, চিনি বা চিনিজাত দ্রব্য (উৎপাদন ও স্থানান্তর) নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০০৬-এর অনুচ্ছেদ ৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আখ এলাকায় অবস্থিত নয়টি চিনিকল আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন শুরু করবে। শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকল লিমিটেড ১৫ নভেম্বর, রাজশাহী চিনিকল লিমিটেড ও নাটোর চিনিকল লিমিটেড ২৯ নভেম্বর এবং ঠাকুরগাঁও চিনিকল লিমিটেড, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড ও ফরিদপুর চিনিকল লিমিটেড আগামী ১৩ ডিসেম্বর আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন শুরু করবে। তাছাড়া জামালপুরের জিলবাংলা চিনিকল লিমিটেড ৬ ডিসেম্বর এবং চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ও জয়পুরহাট চিনিকল লিমিটেড ২০ ডিসেম্বর আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন শুরু করবে। সূত্র জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) অধীনে মোট ১৫টি চিনিকল রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ব্রিটিশ আমলে, ৯টি পূর্ব পাকিস্তান আমলে ও তিনটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্থাপন করা হয়েছিল। লোকসান কমাতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ছয়টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফআইসি। ওই ধারাবাহিকতায় চলতি মাড়াই মৌসুমেও নয়টি চিনিকল উৎপাদনে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ছয়টি চিনিকল চালুর কোনো উদ্যোগ নেই। সেগুলো হলো কুষ্টিয়া চিনিকল লিমিটেড, পঞ্চগড় চিনিকল লিমিটেড, পাবনা চিনিকল লিমিটেড, রংপুর চিনিকল লিমিটেড, শ্যামপুর চিনিকল লিমিটেড ও সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড। যদিও সম্প্রতি বিএসএফআইসি জানিয়েছিল, বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো তারা পর্যায়ক্রমে চালু করবে। এর মধ্যে চলতি মাড়াই মৌসুমে শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলের যেকোনো একটি চালু করার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।