গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্র্যাকের উদ্যোগে নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানি রোধে অগ্নি প্রকল্পের আওতায় সার্ভিস ম্যাপিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) 'তামান্না তাসনীম' ব্র্যাক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মসূচির আওতায় এ্যাওয়ারনেস, এ্যাকশন এন্ড এডভোকেসি ফর জেন্ডার ইক্যুয়াল এন্ড সেইফ স্পেসেস ফর ওমেন এন্ড গার্লস-অগ্নি প্রকল্পের সার্ভিস ম্যাপিং শেয়ারিং সভায় সভাপতিত্ব করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত 'সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স' অবহিতকরণ সভার শুরুতে ব্র্যাক গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অগ্নি প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অগ্নি প্রকল্পের প্রোজেক্ট অফিসার মজিবুর রহমানের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম এ আরিফ সরকার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ এজাজ মিয়া, চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল, ভাকোয়াদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম সরকার, বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ভূঁইয়া, বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনা খাতুন, শিক্ষার্থী তাহমিনা, সীমিত, মায়মুনা আক্তার, জিহাদ হাসান প্রমুখ।আয়োজকরা জানান, সমাজে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের শারীরিক, মনোসামাজিক ও আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সহায়তা প্রাপ্তির ওয়েবসাইট প্রচারনা বিষয়ক সার্ভিস ম্যাপিং শেয়ারিং সভার আয়োজন করা হয়। অগ্নি প্রকল্পটি মুলত স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা, গণপরিবহন, তৈরি পোশাক কারখানা, ডিজিটাল প্লাটফরম, স্থানীয় কমিউনিটিতে যৌন হয়রানি ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরি, রিপোর্টিং ও প্রতিকার, আইন সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরিতে কাজ করছে। অবহিতকরণ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না তাসনীম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। তারা আমাদেরই সমাজের অংশ। বিভিন্ন বিভাগ দায়িত্বশীল হলে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে তা অনেকাংশে কমে আসবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের অধিকার বুঝে নিতে হবে। কাউকে সামাজিক ভাবে হেয় করা যাবে না। অপরাধীদের বিচার হবে, আবার নিরপরাধরা যেন শাস্তি না পায়। শিক্ষকদের মান্য করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সাফল্যে হাতে খড়ি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও গর্ববোধ করে। প্রত্যেকটা মানুষের এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। সবাই মিলেমিশে যেন ভালো থাকতে পারাটা গর্বের বিষয়। যার যার জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। এটা আমাদের কর্তব্য এবং অধিকার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কোন সমস্যায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে শেয়ার করলে তা নিরসন করা সহজ হবে।