চট্টগ্রামে চাক্তাই খালে মিলল রিকশা থেকে পড়া শিশুর নিথর দেহ

চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় রিকশা থেকে পড়ে হিজড়া খালে নিখোঁজ শিশু সেহরিশের নিথর দেহ প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে চাক্তাই খালে মিলেছে।শনিবার সকাল ১০টার দিকে চাক্তাই খালের চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কান্নায় এলাকাবাসীও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। 

শিশু সেহরিশ আছদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার মো. শহিদ ও সালমা বেগম দম্পতির সন্তান। শুক্রবার  রাত সোয়া ৮টার দিকে কাপাসগোলায় শিশু সেহরিশের ফুফুর বাসায় যাওয়ার জন্য আছদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকা থেকে রওনা দেন শিশুর মা ও দাদী। এর আগে, সন্ধ্যা ছয়টার পরে শহরে আধাঘণ্টার বৃষ্টি হয়। এতে কাপাসগোলা নবাব হোটেল লাগোয়া হিজড়া খালে পাশের সড়কটি হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এজন্য তারা সিএনজিচালিত ট্যাক্সি থেকে নেমে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে গলিতে যাওয়ার সময় রিকশাটি হঠাৎ  উল্টে হিজড়া খালে পড়ে যায়।

এ সময় স্থানীয় ও পথচারীরা সেহরিশের মা ও দাদিকে উদ্ধার করতে পারলেও সেহরিশ পানি স্রোতে তলিয়ে যায়।

এই খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। যোগ দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও। রাত সোয়া ১০টার দিকে স্ক্যাভেটরের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় খালে পড়া ব্যাটারিরিকশাটি । শিশুটির সন্ধানে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।

পরবর্তীতে শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের  বলেন, বেপরোয়া গতিতে রিকশা চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ এ সময় তিনি শিশুটিকে যারা উদ্ধার করতে পারবে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়  চট্টগ্রামে খালে কিংবা নালায় পড়ে মানুষ নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু  এখন পর্যন্ত নাগরিকদের চলাচলের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।