দৌলতখানে ভোটার হতে এসে কক্সবাজারের দুই রোহিঙ্গা আটক

এফএনএস (আবুল খায়ের; দৌলতখান, ভোলা) : : | প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
দৌলতখানে ভোটার হতে এসে কক্সবাজারের  দুই রোহিঙ্গা আটক

ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার হতে আসা দুই  রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্বামী-স্ত্রীর এই দম্পতি  রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার হতে আসে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার এস এম ইশতিয়াক আহমাদ জানান, চরপাতা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের বয়জুদ্দিন হাওলাদার বাড়ির আব্দুল গণির ছেলে মাওলানা কারী মোঃ জুলফিকার আব্দুল হালিম ও উম্মুল খায়ের নামে স্বামী স্ত্রীর দুই রোহিঙ্গা কে ভোটার করার জন্য কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসে। কাগজপত্র এলোমেলো ও তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাকে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রুমে গিয়ে নাগরিগত্বের সনদপত্র ও বিদ্যুৎ বিলের কাগজপত্র সহ ভোটার হওয়ার জন্য আসা লোক নিয়ে আসতে বলা হয়। জুলফিকার রোহিঙ্গা আবদুল হালিম ও  স্ত্রী উম্মুল খায়েরকে  নিয়ে আসলে দেখা যায় তাদের কথাবার্তা এলোমেলো ও অসংলগ্ন। এ সময়ে দুই রোহিঙ্গা সহ ভোটার হওয়ার জন্য সহায়তাকারী জুলফিকার ও তার বোন ফাতেমা বেগম সহ চারজনকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি  রানী কৈরীকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রোহিঙ্গা সহ চারজনকে  আটক করে।

মাওলানা জুলফিকার জানান, সে বান্দরবন  নিউ গুলশান ৩ নং ওয়ার্ডের মিনাজ জুলুমাতি ইয়ান নুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। সে দীর্ঘ চার বছর ধরে চট্টগ্রামের ওই জায়গায়  থাকেন। আব্দুল হালিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। সেই সুবাদে তাদের  দুই জনের মধ্যে পরিচয় হয়। জুলফিকার আব্দুল হালিমকে তার মাদ্রাসায় শিক্ষক পদে  চাকরি দিতে জাতীয় পরিচয় এর জন্য ভোটার হতে ভোলার চর পাতা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। জন্ম নিবন্ধন ও  ভোটার হওয়ার  কাগজ পত্র পাওয়ার সহায়তার জন্য তিনি বান্দরবান থেকে টাকা পাঠিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে। চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদে রোহিঙ্গা আব্দুল হালিমের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৯৩০৯১ ২৯২৮১৩৩৩৬৮, তারিখ ১৪ নভেম্বর ২৪। উম্মুল খায়ের এর জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০০০৯১২৯২৮১৩৩৭৮৫, তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪। দুইজন রোহিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করেছে জানতে চাইলে   পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব  হোসেন সবুজ জানান, তার স্বাক্ষর স্ক্যানের মাধ্যমে জাল করে জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে। অপরটির তার আগের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এর স্বাক্ষরে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সায়েরা পলিকে ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়া যায়নি। সে ভোলায় একটি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। ২ নং ওয়ার্ডের  চৌকিদার জামাল উদ্দিন ও নূরে আলম মেম্বারকে ফোন করলেও  তারা পরিষদে আসেন নি। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের একান্ত অফিস সহকারি জিহাদ জানান, নূরে আলম মেম্বারের  স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন জামাল চৌকিদার নিয়ে আসলে দুই রোহিঙ্গার জন্ম নিবন্ধন করা হয়।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে