বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলমীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সোমবার বিকেলে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে জেলা জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠানে যোগ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, শহীদরা জাতীয় সম্পদ, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। তাদের কাছে আমরাসহ পুরো জাতি চির ঋণী। সরকারকে বর্তমানে সকল কিছু বাদ দিয়ে আহতদের চিকিৎসায় হাত দেয়া উচিত। আমরা চাই না আমাদের আর কোনো ভাই পঙ্গু হোক। এছাড়া প্রত্যোকটি গণহত্যার বিচার কার্যকর করতে হবে। কোনো মহল জামায়াতের ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নিয়েন না, তাহলে বাংলাদেশ বিস্ফোরিত হবে। ৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হলে সকলেই মর্যাদা পাবে এবং মানবিক বাংলাদেশ গঠন হবে। একটি সাম্য এবং মানবিক বাংলাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিব না।
৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে ফেনীতে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে ড. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদরা কি অনিয়ম-চাঁদাবাজির জন্য রক্ত দিয়েছে। বর্তমানে যা শুনছি তা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারি ও বেইমানির সমান। আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী শুরু থেকে আন্দোলন আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি আজহারের মুক্তি প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা মজলুম সংগঠন, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছিল। জামায়াত নেতা আজহারকে ধুঁকে ধুঁকে কারাগারে মরার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল হাসিনা সরকার।
এসময় ফেনীর ছাত্র আন্দোলনে ১২ জন নিহতের পরিবার ও প্রায় ৩৫০ আহতদের হাতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির নগদ অনুদান তুলে দেন।
এরআগে ফেনী সফরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সকালে পরশুরামের বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং ফুলগাজীতে শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের কবর জিয়ারত শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।