বাঘাইছড়িতে বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলদারীর অভিযোগ

এফএনএস (দিলিপ দাস; বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি) : : | প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
বাঘাইছড়িতে বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলদারীর অভিযোগ

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। ০৬-০১-২০২৫ ইং তারিখে বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিনের অভিযোগের সাথে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক রহমত উল্ল্যাহ খাঁজা জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেদিন রাতের ঘটনায় উপস্থিত নেতা কর্মীদের মধ্যে নুর কবিরকে রহমত উল্যাহ খাঁজা কল করেন এবং খাগড়াছড়ি ছাত্রলীগের ঐ নেতার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার নির্দেশ দেন এবং সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে পরদিন সকালে তার সাথে দেখা করতে বলেই কল কেটে দেন। বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন রহমত উল্যাহ খাঁজাকে কল করলে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে বিদায় করতে বলেন কিন্তু উপস্থিত নেতাকর্মীরা টাকার কথা শুনে চড়াও হয়ে নাছির উদ্দিন সহ তাকে ইন্দন দাতাদের উদ্দেশ্যে আর কোন আওয়ামীলীগকে আশ্রয় না দিতে শেষ বারের মতো সতর্ক করে দিয়ে চলে আসেন এবং রাগান্বিত হয়ে টাকার লেনদেন করলে রহমত উল্যাহ খাঁজার সাথে করতে বলেন। তাছাড়া যে ২৫,০০০/- টাকা চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে সে টাকা নাকি ছাত্রলীগ নেতা থেকে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন নিয়েছে ঠিকই কিন্তু কারো সাথে লেনদেন করেননি। তবুও স্বাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলেন নাছির উদ্দিন। তাছাড়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক রহমত উল্ল্যাহ খাঁজা নিজেকে বড় নেতা দাবী করলেও বিএনপি কর্তৃক বয়কটকৃত পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জমির হোসেন থেকে বিশাল অংকের টাকা নিয়ে নিজ দল থেকে অব্যাহতী নেয় এবং অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দান করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ তোলেন। এছাড়াও রহমত উল্যাহ খাঁজার ছত্রছায়ায় থেকে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাবেদুল আলম, সাবেক সাধারন সম্পাদক সেলিম বাহারী, আহ্বায়ক হুমায়ুন রশিদ, সোহেল রানা সহ তাদের বেশ কিছু অনুসারী কুখ্যাত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে বিশাল অংকের টাকা নিয়ে পূণর্বাসন, আওয়ামীলীগের ঠিকাদারদের সাথে কাজের ক্রয় বিক্রয়ের চুক্তি করে টাকা না দিয়ে হুমকি ধমকি প্রদান, আওয়ামী নেতা অলিভ চাকমার সাথে মিলেমিশে শত কোটি টাকার কাজ চলমান, পুরাতন কাচালং ব্রীজের ৩লক্ষ টাকার পাটাতন বিক্রি, সাজেক জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ জব্দ, ৫ আগস্টের পর থেকে সরকারী ও এনজিওর যাবতীয় ত্রাণ নিয়ে আত্মীয়করণ সহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর সাথে রহমত উল্যাহ খাজা জড়িত। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। রহমত উল্যাহ খাঁজা সহকারী শিক্ষিকা সোনিয়া আক্তারের কাছে অবৈধ তরিকাতে চাঁদা দাবি ও উত্ত্যক্ত করে। পরে ঐ শিক্ষিকা নিরুপায় হয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হয়। সেলিম উদ্দিন বাহারী, তার ভাগিনা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ, ভাতিজা রিয়াজকে সাথে নিয়ে ঠিকাদারী করবে বলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাষ্টার পাড়াস্থ ইসলাম কোম্পানীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। যা বিচার শালিশের পরও দিবে দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করছে। জোর পূর্বক মিয়া মেম্বারের কাছ থেকে গাছ ব্যবসার টাকা পাবে বলে ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা আরও অভিযোগ তোলেন সেলিম বাহারী ২০১৮ সালের আওয়ামী মিথ্যা মামলার আসামী হননি এবং দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্তে জড়িত ছিল। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাবেদুল আলম অল্প টাকার বিনিময়ে বেচা বিক্রি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অফিসে অফিসে ধ্যান দরবারে ব্যস্ত থাকে এ নেতা। টঘউচ কর্তৃক বিতরণকৃত ত্রাণ তার ভাগনি, বোন, নিজ বাসা ও আওয়ামী নিকটত্মীয়র বাসায় বিতরণ করে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় তুলেছে। ছাত্রদল আহ্বায়ক হুমায়ুন রশিদের নামে বিগত দিনে ১৫ আগস্ট শেখ মজিবুর রহমানের মৃত্যু / শোক দিবস পালনের অভিযোগ, ইসলামী ফাউন্ডেশনে চাকরী, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ বোন জামাই (আওয়ামীলীগ নেতা আলী চেয়ারম্যানের), আপন ভাই মামুন (যুবলীগ নেতা) ক্ষমতা ব্যবহার করে আওয়ামী দুঃশাসনের সময় দাপট নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে নেতা কর্মীরা। পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল রানার বিরুদ্ধে চৌমুহনীস্থ রাজনের দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ভিন্ন মতের নেতা কর্মীদের দমনে নিজস্ব বাহিনী, অপপ্রচার সহ নানাবিধ অপকৌশল ব্যবহার করে দলীয় ও সাধারন জনগণের উপর চাপ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে প্রতিনিয়ত।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে