ব্যাংকে বেনামি শেয়ার ঠেকাতে গ্রহন করা হয়েছে নীতিমালা

এফএনএস অর্থনীতি : : | প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৪৯ এএম : | আপডেট: ৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
ব্যাংকে বেনামি শেয়ার ঠেকাতে গ্রহন করা হয়েছে নীতিমালা

বেনামে উল্লেখযোগ্য শেয়ার কিনে একাধিক ব্যাংক দখল করেছিল এস আলম গ্রুপ। আগামীতে এমন ঘটনা ঠেকাতে কোনো ব্যাংকে ২ শতাংশের বেশি শেয়ারধারকের প্রকৃত সুবিধাভোগী মালিক বা আলটিমেট বেনিফিশিয়াল ওনার্সের (ইউবিও) ডেটাবেইস করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের নামে উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারণ করলে সে বিষয়েও তথ্য দিতে হবে। শেল কোম্পানির আড়ালে শেয়ার ধারণ বন্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত রোববার এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনের আলোকে একক ব্যক্তি, পরিবার বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যাংকে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারে না। তবে বিগত সরকারের সময়ে বেনামি কোম্পানির নামে শেয়ার কিনে ৭টি ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকগুলো হলো– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যক্তি বা পরিবার বিভিন্ন ব্যাংকে বেনামি শেয়ার ধারণ করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শেল কোম্পানির নামে ধারণ করা শেয়ারের বিপরীতে প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত করে পুরো ব্যাংকের কর্তৃত্ব নিজেরা নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যে কোনো উপায়ে ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারক ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিক আলটিমেট বেনিফিশিয়াল ওনার্স হিসেবে বিবেচিত হবে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নামে ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারের সুবিধাভোগীও এই ক্যাটেগরিতে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, ঘোষিত শেয়ার ধারণের কাঠামো স্বচ্ছ বা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় তাহলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শেয়ারহোল্ডারের উপযুক্ত ডকুমেন্ট উপস্থাপনের নির্দেশ দিতে পারবে। কোনো অসংগতি পেলে আইনগত ব্যবস্থা এবং মালিকানা কাঠামো পরিবর্তনের নির্দেশ দিতে পারবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, শেয়ার ধারকের তথ্য প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। আগামী মার্চ প্রান্তিক থেকে এই তথ্য দিতে হবে। সে আলোকে শেয়ারের প্রকৃত মালিকানার বিষয়ে ‘ইউবিও ডেটাবেইস’ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে একটি প্রান্তিক চলমান অবস্থায় মালিকানা পরিবর্তন হলে তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানাতে হবে। কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আলোকে তার শেয়ার রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালা প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের আগামী সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW