বিএনপির চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা, পৌর শাখা ও বারইয়ারহাট পৌর শাখার আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, হামলা ও ভাংচুর করেছেন দলের পদবঞ্চিতরা। এতে মিরসরাই বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার বিকালেও উপজেলার কয়েক জায়গায় বিএনপি'র বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই তিনটি ইউনিটের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিকে কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর রাত ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও যুবদল ছাত্রদলের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভা, বামনসুন্দর বাজার, ঝুলনপোল বাজার, বড়তাকিয়া বাজার, আবুতোরাব বাজার, মিরসরাই পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কামরুল হাসান লিটনের কার্যালয়ে হামলায় আহত হয়েছেন ৪ জন। আহতরা হলেনÑ রাশেদ, সোহাগ, শাকিল। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাটাছরায় হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহীদ, যুবদল নেতা কামরুল সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হাসান লিটন সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে একদল সন্ত্রাসী পৌর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আমার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের হামলায় ৪জন আহত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য ওমর শরীফ বলেন, কমিটি গঠনের পর বামনসুন্দর বাজারে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সহ ৫ জন আহত হয়েছে।
মিরসরাই পৌর কমিটির নব-নির্বাচিত সদস্য সচিবের কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, হামলার বিষয়ে আমি খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, বিএনপিরকমিটি গঠনের পর বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সব স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।