ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও সমাজপতিদের দখলে থাকা অবৈধ ৪ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ হয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাপড়ের দোকানও। বুধবার দুপুরে সরাইল সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন সরকারি খাস জায়গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীর কায়ছান। সাথে ছিেিলন একাধিক পুলিশ সদস্য। উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে সরাইল উপজেলা সদরের একমাত্র খাস জায়গা এটি। জায়গাটির অবস্থান বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের পেছনে ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দক্ষিণ পাশে। এটি ছিল মূলত ডোবা (নাল ভূমি)। বিকাল বাজার বকুলতলা মার্কেটের ও আশপাশের ময়লা আবর্জনা ফেলতে ফেলতে এটি প্রায় ভরাটের রূপ ধারণ করেছে। তবে গত ২-৩ যুগ আগ থেকেই মূল্যবান এই জায়গাটির বারবার লোলপ দৃষ্টি পড়ছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও কতিপয় সমাজপতির। জায়গাটির দুই দিকের দোকান মালিকদের কেউ কেউ সংস্কার কাজের নামে কৌশলে টিন লাগিয়ে খাস জায়গাটি দখলে নিচ্ছেন। প্রতি ২-৩ বছর পর পর ২-৩ ফুট করে দখল করছেন। ভয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজ সচেতন লোকজন কিছু বলার সাহস করেন না। আবার অনেককে কৌশলে ম্যানেজ করে নেয়ার খেলা রয়েছে। বিষয়টির উপর দৃষ্টি পড়েছে সরাইলে সদ্য যোগদান করা ইউএনও এসি ল্যান্ড মহোদয়ের। তারা গতকাল মঙ্গলবার সেখানে অভিযান করেছেন। অভিযানকালে তারা অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা ৪ টি দোকানের অংশ বিশেষ গুড়িয়ে দিয়েছেন। সামনের খোলা জায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকানও এ সময় উচ্ছেদ করেছেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছান বলেন, যত প্রভাবশালী বা শক্তিশালী ব্যক্তিই হউন না কেন আইন তো সবার জন্য সমান। সম্পূর্ণ অবৈধপন্থায় কৌশলে সরকারি জায়গা দখল করার অধিকার বা কোন ধরণের সুযোগ নেই। তাই আজকে অভিযান চালিয়ে ৪ দোকানের অংশ বিশেষ উচ্ছেদ করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।