সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ৩৮ কোটি টাকা ও বিলাসবহুল সম্পদ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশ: ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ৩৮ কোটি টাকা ও বিলাসবহুল সম্পদ জব্দ

দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে থাকা ৭০টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নসরুল হামিদের নামে থাকা ঢাকার পরিবাগের ‘প্রিয় প্রাঙ্গণ’ আবাসিক ভবনের একটি ফ্ল্যাট এবং বনানীর ‘পিপি টাওয়ারে’র তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ করা হয়েছে। এই স্থাবর সম্পদের মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ টাকা।

এছাড়া জব্দ করা হয়েছে তার মালিকানাধীন তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি, যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৫২৯ টাকা।

সবচেয়ে আলোচিত অংশ হলো, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নামে থাকা ৭০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে জমা রয়েছে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।

দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম এসব সম্পদ জব্দ এবং হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, তদন্তে নসরুল হামিদের বিপুল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে এবং এই সম্পদ হস্তান্তর বা অন্য কোনোভাবে বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সুষ্ঠু ও কার্যকর অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব সম্পদ জব্দ করা অপরিহার্য বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগেও, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত নসরুল হামিদ ও তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে থাকা ২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর ছেলে জারিফ হামিদ এবং স্ত্রী সীমা হামিদের নামেও দুর্নীতির অভিযোগে আলাদা মামলা করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায়ই নসরুল হামিদের নাম আসামি তালিকায় রয়েছে।

এদিন আদালত আরেকটি আলোচিত আদেশে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে গুলশানে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গ্যারেজ ও কমন স্পেস জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পদের মোট মূল্য প্রায় ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং তা অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থে অর্জন করা হয়েছে।

প্রথম স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, তদন্ত শুরুর পর থেকে তারিন হোসেন এসব সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে