কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত উপজেলা নিকলী ও বাজিতপুরে গত কয়েকদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাওরের কৃষি জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যবসায়ীরা কৃষি জমি কাটার ফলে জমির টপসেল বা উর্বরতা শক্তি একেবারে কমে যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী কৃষি জমি গুলো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ও মাইজচর ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, ১০-১৫টি ট্রাক দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি এনে বিভিন্ন ইট-ভাটায় দিচ্ছে। এতে করে পাশ্ববর্তী জমির ফসলগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।
আয়নারগোপ গ্রামের কয়েকজন গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, কৃষি জমি থেকে ইট-ভাটার জন্য মাটি যেমন অসাধু ব্যবসায়ীরা আনছে। তেমনিভাবে ইট-ভাটার কালো ধোয়ায় তাদের বাড়ির বিভিন্ন ফসল হচ্ছে না বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা বলেন, পাশ্ববর্র্তী গ্রাম থেকে ইট-ভাটা অন্তত এক কিলোমিটার দূরে থাকার কথা, সেখানে লোকালয়ে ইট-ভাটা থাকার কারণে শিশু এবং বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেশি। এ ব্যাপারে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনামকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে নিকলী উপজেলার জারইতলা ও গুড়ই ইউনিয়নের হাওরের বিভিন্ন এলাকায় ইট-ভাটার মালিকরা কৃষককে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে জমি থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে নিকলী উপজেলা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।