রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের জন্য একটি বড় ধরনের স্বস্তির খবর এসেছে সরকার থেকে। এখন থেকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভুক্তভোগীরা আর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে না হয়ে সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর বরাবর দরখাস্ত জমা দিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে রোববার (২০ এপ্রিল) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভা ছিল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির একাদশতম বৈঠক। সভায় জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে দায়ের করা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলোর মধ্যে যেসব মামলায় ভুক্তভোগীরা মুক্তি চান, সেসব মামলার প্রত্যাহারের জন্য এখন থেকে সরাসরি আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলাগুলোর দ্রুত পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান সহজ হবে।
আজকের বৈঠকে আরও ৭২৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে অনুষ্ঠিত দশটি সভায় মোট ৭ হাজার ৫৭০টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছিল। ফলে সর্বমোট ৮ হাজার ২৯৪টি মামলার প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সুপারিশ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
কমিটি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট) মধ্যে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের জন্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার বহু মানুষ নতুন আশার আলো দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ধরনের মামলাগুলোর কারণে অনেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সরলীকৃত প্রক্রিয়া ও কার্যকর পদক্ষেপ তাদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা।