শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে পন্ড হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সিন্ডিকেট সভা। এ সভাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাসভবনের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন একটি মাত্র আলোচ্য বিষয় রেখে অনলাইনে সভার আহবান করেছেন। কিন্তু এ সভা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য, ট্রেজারার ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ববি’র সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ওই সভা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পূর্নবাসনের চেষ্টার অভিযোগ এনে বয়কটের আহবান জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। সূত্রমতে, উপাচার্যের আহবান করা এ সিন্ডিকেট সভা যেন না হতে পারে, সেজন্য তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিতে ববি উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক উপাচার্যের বাসভবনে আসলে তাদেরকে গেইটে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিতে আসা চার সদস্য উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে রয়েছে এমন খবরে শিক্ষার্থীদের ওই অংশ বাসভবনের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবী জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীদের দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে, রেজিস্ট্রারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে, অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের প্রতিনিধি করে সিন্ডিকেট সভার আহবান করতে হবে, মেয়াদ শেষ না হওয়ায় বাতিল করা দুই শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে, ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রোডম্যাপ দিতে হবে, সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিধান রাখতে হবে, সিন্ডিকেটের আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকদের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে, স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে সখ্যতার কারণ স্পষ্ট করে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনার পর পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শিক্ষার্থী ইমরান আল-আমিনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহত সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল কর্মী জাহিদ, সাকিন, রাকিবুল ইসলাম ও মোকাব্বেল শেখ এ হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম বলেন, হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না।