ফের রিমান্ডে মেনন-ইনু

সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হত্যার ঘটনায় ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার শুনানি চলাকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন সরকার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন এবং বলেন, "আন্দোলনের সময় আসামি ইনু এমপি ছিলেন না এবং তিনি কোনো হত্যার নির্দেশ দেননি। বরং তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এছাড়া, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে অংশ নেন এবং একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ।"

মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। নিহতের বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২২ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে গুলশান থেকে এবং ২৬ আগস্ট ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

ইনু ও মেননের রিমান্ডে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, "তাদের নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।" অন্যদিকে, সরকারের সমর্থকরা বলছেন, "অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।"