প্রতিবছরের মতো এবারও আসন্ন রমজান মাসে রাজধানী ঢাকায় ন্যায্য দামে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ২৫টি স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি হবে।
এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, রমজান মাসে সাধারণ মানুষের খাদ্যপণ্য সংগ্রহে যেন কোনো অসুবিধা না হয় এবং বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাস্তুরিত দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হবে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ঢাকার ২৫টি স্থানে গাড়ি করে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি, বিশেষভাবে বস্তি এলাকাগুলোতে বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব এলাকা নির্বাচনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের হার বেশি। এলাকাগুলো হচ্ছে, সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, বনানী, কামরাঙ্গীর চর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখাল পাড়া (লুকাস মোড়), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ঢাকার প্রতিটি এলাকাতে দৈনিক ৬০ হাজার পিস ডিম, ৬ হাজার লিটার পাস্তুরিত দুধ, ২ হাজার কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মাংস এবং ২,০০০ থেকে ২,৫০০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকার পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর ফলে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রান্তিক খামারিদের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে এসব পণ্য বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এছাড়া, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স এসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং অন্যান্য অংশীজনসহ প্রান্তিক খামারিরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে রমজান মাসে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারে আসবে।