ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়াা গ্রামে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে কৃষি জমি কেটে বালুমাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা করছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করে বেআইনি ভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে আশেপাশের কৃষি জমি ভাঙ্গনের সৃষ্টির পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে জাতীয় বিদ্যুতের লাইনর খুটি।
সরকারি অনুমোদনহীন ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘ প্রায় তিনবছর যাবত এই ইউপি সদস্য অবৈধ ভাবে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করে মাটির রমরমা ব্যবসা করলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি । এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফজলি জমি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার তারুয়া গ্রামের তারুয়া-নাওঘাট সড়কের পাশে একটি ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তলন করছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: আল আমিন । এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা এবং ইউপি সদস্য আল আমিনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান ফসলি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে ড্রেজার বসিয়ে এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে আমাদের ফসলি জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউপি সদস্য আল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি আমার নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটছি।এখানে কারো কোন কথা বলার নাই। আমার জমি আমি যা ইচ্ছা করতে পারি।এখানে কাউকে জিঞ্জাসা করার প্রয়োজন মনে করি না।। ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু কেটে নেওয়ায় আশপাশের জমি ভেঙে যাচ্ছে। পাশাপাশি হুমকির মুখে পরেছে জাতীয় গ্রিড লাইনের বৈদ্যুতিক টাওয়ার। এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থানে এ বালু অবৈধ ভাবে বিক্রি করে বিকপুল পরিমান অর্থে পকেট ভারী করছে। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিব আব্দুল্লাহ বলেন,কৃষি জমিতে পুকুর খনন অথবা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা আইনত সম্পূর্ণ নিষেধ। তিনি বলেন উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন ফসলি জমি কেটে বালু বিক্রি সম্পূর্ণ বেআইনি। এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে যে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।