দুইটি গায়েবী মামলায় চরম হয়রানীর শিকার হয়ে গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভাটারা থানার নর্দা এলাকার মরহুম সারোয়ার আলমের ছেলে তানভির আলম(৫১)। মামলার পর থেকেই একটি মহল তার নিকটে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে আসছে বলে তিনি জানান। পর পর তাকে ২টি মামলার আসামী করা হয়েছে। একটি ভাটারা থানা ও অপরটি হাতিরঝিলে। প্রথমটিতে৩৪ নং আসামী ও পরেরটিতে ১৪৪ নং আসামী করা হয়েছে।মেট্র্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ভাটারা আমলী) আদালত ঢাকা। সি আর মামলা নং ৫৫২/২০২৪ এজাহারে তাকে গায়েবীভাবে যুব লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী দিনাজপুরের বিরামপুর থানার পুইনন্দি গ্রামের জনৈক ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল (৫৪) পিতা মৃত শাহাম্মদ মন্ডল মাতা মৃত জবেদা বিবি স্থায়ী সাং পুইনন্দি,পুর্বপাড়া,পোঃ নন্দিগ্রাম,থানা বিরামপুর,জেলা দিনাজপুর। তার অস্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে মোল্লাপাড়া, জোয়ারা সাহারা,থানা-ভাটারা জেলা-ঢাকা।বাদী একেবারইে নিরক্ষর হয়েও কি করে একটি মামলা রুজু করে এতগুলো ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এজাহারে তার মোবাইল নং ৩২৯-০৫৯৩৬৭ দেওয়া আছে। ওই নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ২য় মামলার বাদীও একজন নিরক্ষর ব্য্াক্তি। মামলায় তাকে ১৪৪নং আসামী দেখানো হয়েছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যুবক তানভির শান্ত ও ভদ্র আচরনের জন্য মহল্লায় সবার আস্থা ভাজন হয়েছেন। তিনি কোন দিন কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তার পিতা মরহুম সারোয়ার আলম চলচিত্রে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে থাকায় তার পিতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে জাসাসের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । পরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হলে তিনি আর কোনদিন রাজনীতিতে ফিরে যাননি। গায়েবী মামলার শিকার রঞ্জুর পিতা ২বছর পুর্বে মারা যান ও মাতা ১বছর পুর্বে মারা গেলে ২ভাই এতিম হয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তাকে টার্গেট করে গায়েবী মামলার আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন আমার মহল্লায় গিয়ে তদন্ত করলেই আমার বিষয়ে সবাই কথা বলবে। তিনি জীবনে কোন ধরনের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না এখনো নাই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমাকে কেন হয়রানীমুলক মামলা দেওয়া হলো। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে হয়রানীমুলক মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত যারা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।