রক্ষনাবেক্ষন ও সংস্কারের অভাবে ব্রিটিশ আমলে চুন সুড়কির গাথুনি ও ছাদ ঢালাই করে নির্মিত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ডাকবাংলোটি যুগের পর যুগ ধরে অবহেলা আর অযত্নে এখন এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরকারী ডাকবাংলোটি যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।এলাকাবাসীর অভিযোগ ডাকবাংলোটি অব্যবহৃত ও পরিত্যাক্ত থাকায় প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে। ঘরের ইট খুলে পড়ছে ও দেয়ালের বিভিন্নস্থানে আগাছা জন্ম নিয়েছে। ।ঘোড়াঘাট থানার ্উত্তর পার্শ্বে ১শ গজের মধ্যে এই বাংলোটির অবস্থান। প্রায় ৩বিঘা জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাংলোটি দিনাজপুর জেলা পরিষদের অধিনে থাকলেও এর কোন প্রকার সংস্কার বা পুনঃনির্মান করা হয়নি। বিগত সরকারের আমলে এটি ভেঙ্গে নির্মান করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও অজানা কারনে এর নির্মান কাজ স্থগিত করা হয়। পতিত সরকারের দোসর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ক্ষমতায় থাকাকালে ঘোড়াঘাটের বাংলোটি ভেঙ্গে নতুন ভবনের টাকা বরাদ্দ হলেও অজানা কারনে আর ভবনটি আশার আলো দেখতে পারেনি। ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলোটি সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করা হবে। ঘোড়াঘাটে পাশ্ববর্তি হাকিমপুর,নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ীতে নতুন ভবন হলেও ঘোড়াঘাটের ভবনটি আজো অবহেলা ও পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। এই ভবনে বিভিন্ন সময় সরকারী,এন,জি,ও,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন রাত্রী যাপন করত। বাংলোটি বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় বর্তমানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।এ ছাড়াও ভবনটির চতুর্দিকে নিরাপত্তাবেষ্টনির প্রাচীরের ইট প্রায় রাতের আধারে খুলে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা ।