বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ৬ঘন্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে অপাশবিক নির্যাতন করার অপরাধে মায়া বেগম নামের এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এ পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামে। নির্যাতিত ওই কিশোরী ঘড়িয়ালডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিকাল তিনটার দিকে তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, নির্যাতিত ওই কিশোরীর ছোট বোন (৯) কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছে। তার দাদি নাতনির চিকিৎসার খরচের জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে একটি গরু দান করেন। পরে ওই কিশোরীর দূর্সম্পর্কের দাদা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তোলেন এবং চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। বাবাকে দেয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানেই নবম শ্রেণির ওই
কিশোরীকে গাছের সঙ্গে ৬ঘন্টা বেঁধে রেখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শরীরের গোপন অংশসহ বিভিন্ন স্থানে অপাশবিক নির্যাতন করা হয় বলে নির্যাতিত কিশোরী অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে ওইদিন বিকাল ৩ টায় রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, কিশোরীর বোনের চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীর বাবা জোর করে তার মায়ের একটি গরু নিয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখে। পরে ওই গরু নিয়ে আসতে গেলে কিশোরী তার দাদিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে গুরত্বর আহত করে। পরে আহত দাদিকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাপতালে নিয়ে যায়। এলাকার অন্য নারীরা তাকে বেঁধে রাখেন।' এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর বাবা রাজারহাট থানায় ওইদিন রাতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মায়া বেগমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে গ্রেফতারকৃতকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে থানার অফিসার ইনচার্জ তছলিম উদ্দিন জানান।