দিঘলিয়ায় সাসটেইনেবল কোস্টাল প্রজেক্টের আওতায় ওয়ার্কশপ

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : | প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
দিঘলিয়ায় সাসটেইনেবল কোস্টাল প্রজেক্টের আওতায় ওয়ার্কশপ

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২৫) সকালে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দোহার খাল সংলগ্ন পানিগাতী গ্রামে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা মৎস্য অফিসার ড. ফারহানা তাসলিমার সভাপতিত্বে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট ( ১ম সংশোধিত) Workshop on Introducing Participatory M & E   (মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন)System at Upazila Level অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান আকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, দিঘলিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম, বৈশম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের মোঃ রাতুল হোসেন, মোঃ আকিব হোসেন, শেখ ফরিদ হোসেন প্রমুখ। 

দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতি, ব্রহ্মগাতী এবং দিঘলিয়া গ্রামের খালপাড়ের ৩০ জন সুবিধা ভোগী ও এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। দিঘলিয়ায় বর্তমানে দুইটি খাল পূণঃখনন হচ্ছে। খাল দুটি যেন যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ খালের গভীরতা এবং প্রস্থ্য ঠিক রেখে মানসম্পন্ন ভাবে খনন করা হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করার জন্য অংশগ্রহণকারীরা মৎস্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,খাল হল জীবন জীবিকার অন্যতম একটা উপকরণ। দিঘলিয়া উপজেলাটি একটি দ্বীপ এলাকা। এখানকার মাটি যথেষ্ট উর্বর, তবে এলাকাটি জলা মগ্নতায় ডুবে থাকে। এই জলা মগ্নতা দূর করতে পারলে মৎস্য খাতে এখানে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ উপজেলায় খাল পূণঃখননের  উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খাল পূণঃখনন সম্পন্ন হলে এলাকা থেকে পানি সহজে ওঠা নামা করতে পারবে যার ফলে এলাকায় ব্যাপক মৎস্য চাষ সম্পন্ন হবে এবং মৎস্যজীবীরা লাভবান হবেন। খালের পানি সহজে ওঠা নামা করতে পারায় এলাকার কৃষিজীবীরাও ব্যাপক ফসল ফলাতে সক্ষম হবেন । কৃষিতে এবং মৎস্য চাষে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দিঘলিয়ার এই খাল পুনঃখননের  উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

খুলনা এবং  সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মৎস্য চাষ হয়ে থাকে। আর সেই মৎস্য রপ্তানি করে এ অঞ্চলের মানুষ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, যেটা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যায়ের  কারণে এ অঞ্চলে চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে