জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বসতবাড়িতে হামলা, কাঁটাতারের বেড়া ভেঙ্গে জমি দখল ও ৭০টি কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চাচা ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ভাসিলা পূর্বপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে রায়হান আলী। এনিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বেলা ১১টায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী রুবি আক্তার ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে রুবি আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে আমার দাদি সাহেরা বেগম ভাসিলা মৌজায় ৪৪৬ দাগে ৪ শতক জমি দলিলমূলে প্রাপ্ত হই। একই দাগে আমার পিতা বারিক ফকির পৈত্রিকসূত্রে দেড় শতক মোট ৫.৫০ শতক জমি ভোগদখলে থেকে নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করেছি। জমিটি পূর্বে নিচু ও অনাবাদি অবস্থায় ছিল। স্থানীয় এক প্রভাবশালী আমার জমিটি স্বল্পমূল্যে ক্রয় করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ওই জমির চারপাশে অন্যের জমি ক্রয় করে। তার জমিগুলো মাটি ভরাট করতে গিয়ে কৌশলে আমার জমিও জোরপূর্বক ভরাট করে। এবিষয়ে স্থানীয়ভাবে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন প্রতিকার না পেয়ে জয়পুরহাট সদর সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ দেই। তাঁরা সরেজমিনে এসে তদন্তপূর্বক অবৈধভাবে ভরাটকরা মাটির মূল্য পরিশোধ করতে বলে এবং উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ওই জমিতে হস্তক্ষেপ না করার শর্তে লিখিত আপোষনামা হয়। এরপর সার্ভেয়ারের মাধ্যমে আমার দখলি জমির সীমানা নির্ধারণ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৭০ টি কলাগাছ রোপন ও পরিচর্যা করতে থাকি। এরপর উপায় না পেয়ে ওই প্রভাবশালী মহল আমার আপন চাচা রায়হান আলীকে কব্জা করে। আমার পিতার কোনো ছেলে সন্তান না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার দখলি জমি পুনরায় জবরদখলের চেষ্টা করে তারা। আমরা স্বামীর বাড়ীতে থাকার পরও বৃদ্ধ পিতা ও চার বোনের নামে থানায় অভিযোগ করে হয়রানি করে। এমনকি রাতের আধারে ভাসিলা গ্রামে আমার বাবার বাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আমার চারবোনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশালীন বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করছে। পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে আমার জমির সীমানার খুঁটি ও কাঁটাতারের বেড়া ভেঙ্গে ৭০টি কলাগাছ কেটে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারী আমার বাবার বাড়িতে ভাংচুর করেছে তারা। আমরা নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করি। এবিষয়ে রুবি আক্তারের বাবা বারিক ফকির বলেন, আমি একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। আমার কোনো ছেলে সন্তান নেই। আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযোগ অস্বীকার করে রায়হান আলী বলেন, ওই জমি আমার বড় ভাই ও ভায়ের মেয়ে দখল করে আছে উল্টা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। আমি বাড়ি ভাংচুর বা গাছ কাটিনি।