কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেছেন, জামায়াত সবারই মিত্র ছিলো। একেক সময় জামায়াত তাদের মিত্র পরিবর্তন করেছে। তারা স্বৈরচারের মিত্রও ছিলো। সবার মিত্র ছিলো। যারা বারবার মিত্রতা বদলায় আমি তাদের বলি তারা একটি সুবিধাবাদী দল। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকতে পারেনা। আমাদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফলে স্বেরচারী আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে। নতুন একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে। তাদের আমরা অনেক সময় দিয়েছি। তারা যে সংস্কার করার করবেন। সংস্কার শেষে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক দল যে সংস্কার করতে পারবেন সেটা করে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন দেন। যাতে করে একটি জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। যে আন্দোলন আমরা করে যাচ্ছি, সে আন্দোলন আমাদের অব্যহত রয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। আমাদের দরকার একটি রাজনৈতিক সরকার। একটি গণতান্ত্রিক দল। দেশের অর্থনীতি চালু রাখতে নির্বাচিত সরকারের কোন বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকারই একটি ভংকুর দেশ সংস্কার করতে পারে।
একটি ঘরের অবকাঠামো ঠিক না করে দরজা জানালা যেমন ঠিক করা যায়না, তেমনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন না করে স্থানীয় সংসদ নির্বাচন করার য্ুিক্ত নেই। যারা আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চায়, আমরা মনে করি একটা ষরযন্ত্র। আমরা ষরযন্ত্রকারীদের সাথে নেই। বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী দল ছেড়েছে, তাতে তারা কি পেয়েছে? আমাদের দল সংগঠিত রয়েছে। বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে আরো শক্তিশালী করতে জেলা বিএনপির নেতাদের নিয়ে বসেছি। দলের সকলকে নিয়ে বসে দলকে আরো সুসংগঠিত করতে সকলের সাথে আলোচনা করতে হবে।
বরিশাল বিভাগে সাংগঠনিক টিম প্রধানের সংগে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি এবং জেলার ছয় ইউনিটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক টিম প্রধান আবদুল আউয়াল মিন্টু একথা বলেন। রোববার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, জীবা আমিনা আল গাজী, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন সহ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির এবং এবং ৬টি ইউনিটের শীর্ষ নেতৃবৃন্ধ এতে অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন।