দাতা সংস্থার অর্থায়নে ঢাকাতে ই-বাস নামানোর উদ্যোগ

এফএনএস এক্সক্লুসিভ
| আপডেট: ১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম | প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
দাতা সংস্থার অর্থায়নে ঢাকাতে ই-বাস নামানোর উদ্যোগ

দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বর্তমান সরকার রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক বিদ্যুৎচালিত বাস বা ই-বাস নামানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। মূলত ঢাকা মহানগরে পরিবহন খাত থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনাই প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য। কোম্পানিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে ওই বাসগুলো পরিচালনা করা হবে। আর বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে বাস সংগ্রহ, আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন খাতে কাজ করার জন্য বিশ্বব্যাংক ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অনুকূলে ঋণ দেবে। ডিটিসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দাতা সহায়তায় ৫০০টি ই-বাস প্রকল্পের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আর সেগুলোর ব্যাটারি সক্ষমতা ২৭৫-৩০০ কিলোওয়াটের মধ্যে থাকবে। একই প্রকল্পের মাধ্যমে চালক ও পরিবহন রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে। বাস সংগ্রহ, ডিপো নির্মাণ, আইটিএস ও বাস পরিষেবা পুনর্গঠনের কাজে ১১০-১৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর বিআরটিএর জন্য ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপনে ৪০-৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।

সূত্র জানায়, ই-বাস প্রকল্পটির মাধ্যমে রাজধানীতে বাস পরিষেবা আধুনিকায়নের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ওই কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রনিক ভাড়া আদায় ব্যবস্থা, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনা, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ নির্মাণ, ডাটা সেন্টার, অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তোলার কাজ করা হবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও বায়ুমান উন্নয়ন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন, সবার জন্য প্রবেশগম্য গণপরিবহন সমপ্রসারণ, যানজট প্রশমন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে। 

সূত্র আরো জানায়, ই-বাস প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটি বাস সার্ভিস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ইলেকট্রিক বাস ক্রয় (বিভিন্ন মোডালিটি ও অন্যান্য অর্থায়নের ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ২৫০-৫০০টি), পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, নতুন বাস ডিপো স্থাপন ও বিদ্যমান ডিপোর অবকাঠামো উন্নয়ন (সম্ভাব্য ১০টি), বাস স্টপেজ নির্মাণ ও উন্নয়ন, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপন এবং কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিমালা প্রণয়ন।

এদিকে এ প্রসঙ্গে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানান, ‘প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে