পাংশায় ইমনের মুড়ির ফ্যাক্টরি; পড়েছে লাইন

এফএনএস (এম.এ. জিন্নাহ; পাংসা, রাজবাড়ি) : | প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
পাংশায় ইমনের মুড়ির ফ্যাক্টরি; পড়েছে লাইন

রোজা সামনে করে  ইমনের মুড়ির ফ্যাক্টরিতে পড়েছে লাইন। দূর দূরান্তের পুরুষ গ্রাহকের পাশাপাশি নারী গ্রাহকরা ও এসেছেন মুড়ি ভেজে নিতে। মুড়ির ফ্যাক্টরিতে দিতে হচ্ছে এখন দিবারাত্রির সার্ভিস। পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির পদ্মা নদীর বাঁধের রাস্তার সাথে ইমন শেখের (২৭) মুড়ির ফ্যাক্টরি। মুড়ি ফ্যাক্টরিতে চালকের ভূমিকায় আছেন ইমন নিজেই। ইমনের পিতার নাম শহিদুল ইসলাম বাড়ির সামনেই ফ্যাক্টরি হওয়ায় ইমনকে সহযোগিতা করছেন তার মা হালিমা বেগম। একজন কর্মচারীও আছেন। শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইমনের মুড়ির ফ্যাক্টরিতে গিয়ে দেখা যায়, অপেক্ষমান একজন গ্রাহক মোহা: আসাদুজ্জামান  এসেছেন পাংশা উপজেলা সদর থেকে।  তিনি বলেন, আমরা এক বছর আগে থেকে ইমনের  ফ্যাক্টরি থেকে মুড়ি কিনি। মুড়িতে কোন প্রকার ইউরিয়া বা রাসায়নিক মিশ্রণ করা হয় না। আমরা দাঁড়িয়ে থেকে মুড়ি বানানো স্বচক্ষে দেখেই নিচ্ছি। দামেও সাশ্রয়। যেখানে পাংশা উপজেলা সদরে প্রতি কেজি খুচরা মুড়ির দাম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। অথচ এখানে টাটকা গরমটা পাচ্ছি শুধু ৮৫ টাকা কেজি।   কাজের ফাঁকে মালিক ইমন এর সাথে কথা হলো। ইমন বলেন, বাবা মার বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে আমি মুড়ির ফ্যাক্টরি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। পূর্বে মুড়ির ফ্যাক্টরিতে কাজ করার আমার কিছু অভিজ্ঞতা ছিল। মুড়ির ফ্যাক্টরি কিনতে আমার দুই লক্ষেরও কিছু টাকা কমই পড়েছিল।  আল্লাহর রহমতে আমি এখন সফল। আমাদের উপজেলার পাশের দুই উপজেলার লোকজনও আমাদের এখানে আসে মুড়ি নিতে। কোন কোন গ্রাহক চাল নিজে নিয়ে আসেন। আমরা সেগুলোও ভেজে দেই। আবার যারা চাল আনেন না; তাদের আমাদের রেডি চাল দিয়ে সামনেই মুড়ি ভেজে দেই। ইমনের ফ্যাক্টরি থেকে আয়ের পরিমাণ কী জানতে চাইলে ইমন জানায়, দিনে গড়ে দুই হাজার টাকা ইনকাম হয়। তার অর্ধেক খরচ হয় কর্মচারী, খড়ি এবং ইলেকট্রিসিটি বিল দিতে। তাতে আমার মাসে ৩০ হাজার টাকার মত ইনকাম থাকে। ইমনের মা হালিমা বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। আমার দুইটা ছেলে। বড় ছেলে একটা ছোট রাইস মিল চালায়। ইমন মুড়ির ফ্যাক্টরি দিয়েছে। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি আমি ইমনের মুড়ির ফ্যাক্টরিতে সহায়তা করি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে