নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির কর্মীর লাশ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। অক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চরহাজারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজ রায়হান, রামপুর ইউনিয়নের ৯নংওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম বাবলুর লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর ৪ জামায়াত-শিবির কর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য আদালত ৩জনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর এই ৩টি লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা প্রশান্ত চক্রবর্তী, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)এসআই মঈনুল হোসেন, পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও নিহতের স্বজনেরা।
প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্য’সহ ১১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।