ভোলার দৌলতখান উপজেলার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআন শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মত উদ্যোগ গ্রহণ করলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রিনা আক্তার। সুদক্ষ এ নারী সরকারি নিজ পেশাদারিত্বের পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কুরআন প্রেমিক সকল অংশীজনের সম্মিলিত সহযোগিতায় ২৩ ঘন্টায় সহজ পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে বিশুদ্ধরূপে কুরআন শিক্ষাদানে উদ্যোগ নেন। ইদারায়ে ইছলাহে ক্বিরাআত স্কীমের অধীনে ৬০০জন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে কুরআন শিক্ষার জন্য মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণের একটি প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেন। ১২ সদস্যের দক্ষ প্রশিক্ষক টিমের মাধ্যমে ৪০০ জন মুয়াল্লিম তৈরি করা হয় যারা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে কুরআন ক্লাস দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে পারবেন। প্রশিক্ষক টিমের প্রধান ছিলেন দৌলতখান মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ইমাম মোঃ রেজাউল কারীম বুরহানি। সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতখান মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে চারশত জন মুয়াল্লিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি রাণী কৈরী। সভাপতিত্ব করেন দিদার উল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ও উপজেলা জমিয়াতুল মোদারেসিনের সভাপতি মাওলানা আবদুছ ছামাদ। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন হাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মোঃ মহসিন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন তালুকদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ ডোনারগণ, উপজেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারিবৃন্দ। একাডেমিক সুপারভাইজার এ নারী সৃজনশীলতার সাথে কুরআন ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ে ইসলামিক কালচারাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে কুরআন শিক্ষা প্রকল্পের সামগ্রিক চিত্র ফুটিয়ে তোলেন যা সবাইকে মুগ্ধ করে। এছাড়াও তিনি জনস্বার্থে দৌলতখানে একটি কুরআন ও বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ও বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। নৈতিক চরিত্র গঠন ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে অনুবাদসহ কুরআন শিক্ষাকে জোরদার করতে তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।