ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরেকে ঝিনাইদহ ও ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
(আজ)মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস রিলিজে র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ আটকের কথা জানান।
আটককৃত দুই জন হচ্ছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন সনুর ছেলে আবু সাইদ (৩৯)এবং একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনজের হোসেনের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৬)।
জানা গেছে সোমবার সকালে শৈলকুপা থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন নিহত হানেফের ছোট ভাই হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম ইশা।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপার।আলোচিত ট্রিপল মার্ডারে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু সাইদ ও আনারুল নামে ২ জনকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে তারা।
তিনি বলেন, শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে আবু সাইদকে ও গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃতদের এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা উদঘাটনের জন্য তদন্তের স্বার্থে শৈলকূপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান জানান, শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটে যে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কোন আসামীর নাম উলেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হানেফের ভাই।
তিনি আরো জানান, ট্রিপল মার্ডারে নিহত তিনজন হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদননগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) সামরিক কমান্ডার হানিফ আলী (৫৬), তার শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উন্মাদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৩৮) ও কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রাজু (২৮)।
ওসি জানান, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শনিবার বিকেলে ৩জনের লাশের পোষ্টমোর্টেম সম্পন্ন হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে । এরপর সন্ধ্যার দিকে লাশ তিনটি নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তানান্তর করা হয়।