২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ হলো। সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। এখানে কোনো ‘ইফ’ এবং ‘বাট’ নেই।”
স্মরণসভায় সেনাপ্রধান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন, “এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যদি কেউ এটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করতে চায়, তাহলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।”
সেনাপ্রধান আরও বলেন, “২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এই ছবিগুলো আমরা দেখেছি, কিন্তু আমি নিজে এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বা বাইরের কোনো শক্তির সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, সেটি নির্ধারণের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের তদন্তের ফলাফল সামনে এলেই সত্য জানা যাবে।”
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে সতর্ক করে বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, যদি নিজেদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেন, যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর অবস্থায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য অধ্যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে এবং সেনাপ্রধানের বক্তব্য অনুযায়ী, বিচার যেন সঠিক পথে এগিয়ে চলে এবং কোনো রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সেটিই সকলের কাম্য।