সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও উদ্ধার কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করে তুলতে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এবিসি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট অবতরণের সময় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উদ্যোগে আয়োজিত এই মহড়ার উদ্বোধন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া। বিমানবন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থা এই মহড়ায় অংশ নেয়।
মহড়ায় অংশ নেয় বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ট্রাক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট, বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর ফায়ার ট্রাক, উদ্ধারকর্মীদের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স। এ সময় একটি ফ্লাইটের অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কাল্পনিক পরিস্থিতি তৈরি করা হয় এবং তৎক্ষণাৎ উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বিমানবন্দর ম্যানেজার মো. হাফিজ আহমদ জানান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় এ ধরনের মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, "এ ধরনের মহড়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করার সক্ষমতা বাড়ে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, যাত্রী ও বিমানকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর এ ধরনের মহড়া পরিচালিত হয়।
মহড়ায় উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে এই ধরনের মহড়া অত্যন্ত কার্যকর। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, "সমন্বিত মহড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে পারি। এতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সমন্বিতভাবে কাজ করা সম্ভব হয়।"
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগামীতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে। মহড়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের মহড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।