টাঙ্গাইল পৌরসভায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে নাইম (৩০) নামের এক যুবক। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। অভিযুক্ত ওই যুবক শহরের সাবালিয়া বটতলা এলাকার ছানোয়ার ভুইয়া (সোনা) মিয়ার ছেলে । মামলা সুত্রে জানাযায়, নাইমের সাথে ওই তরুণীর প্রায় ৬ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক। প্রেম থাকাকালীন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকরেন নাইম। পরবর্তীতে নাইমের ভগ্নিপতি কবিরের কু-পরামর্শে কক্সবাজার নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করে যা ভুক্তভোগী তরুণী পরে জানতে পারে। ৫ই(নভেম্বর) ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধায় তরুণীর পূর্ব আদালত পাড়ার বাসায় কবিরের কু-পরামর্শে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে তরুনী অসম্মতি জানালে নাইম তাকে শারীরিকভাবে হেনেস্তা করে ধর্ষনের চেষ্ঠা করে। একপর্যায়ে চিৎকার করলে বাসার দারোয়ান লিলি আক্তার এগিয়ে আসলে তাকে ও তার বাসার দারোয়ানকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে মিমাংসার জন্য তার বাসায় গিয়ে নাইমের ভগ্নিপতি কবির ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতা তরুণী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে নভেম্বরের ২৪ তারিখে নানা অপবাদ দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগী তরুণী ১৫ই (জানুয়ারি) ২০২৫ থানায় গিয়ে ওই, তরুণী দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, আত্মীয়তার সুত্রে গত ৬ বছর পুর্বে নাইমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেম হওয়ার কয়েকমাস পর তার পরিবার জোর করে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেন। সেখান থেকে নাইম তাকে ফুঁসলিয়ে ওই তরুণীর স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। তারপর নাইম তাকে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন তিন রাত হোটেলে থাকে। এছাড়াও ছয় বছরে তরুণীদের বাসায় গিয়ে অবাধে মেলামেশা করে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে নাইম বলে মিতু আমার স্ত্রী বলে জানালে এলাকাবাসী ছেড়ে দেয়। তরুণী আরো জানায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে নাইম বলে আমার একটি মাত্র বোন। বোনসহ ভগ্নিপতি কবীর ইতালীতে থেকে আসলে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। এদিকে ওই তরুণী কুমুদিনি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন। সম্প্রীতি তার বোন ও ভগ্নিপতি ইতালি থেকে আসলে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে পারবে না বলে অস্বীকার করে।
অভিযুক্ত নাইমের বাবা ছানোয়ার ভুইয়া জানায়, ওই মেয়ে তাদের আত্নীয়। মেয়ের বিয়ে হয়েছিলো কিভাবে তাকে ঘরে বউ হিসেবে আনবো । এছাড়াও মেয়েটির চরিত্র ভালো না। আপনার ছেলে তাকে নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলো এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেননি। নাইমের ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশে উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং (সংশোধিত) ৩২৩/৫০৬ মূলে মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে। আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা করছি, আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ অবগত আছেন।