পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর ইউএনও মিজানুর রহমান এক সময়ে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। জুলাই বিপ্লবের সময় তিনি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। সেখানে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে কোন শিক্ষার্থীকে মাঠে নামতে দেননি। তিনি বলতেন আমি ছাত্র লীগের ক্যাডার ছিলাম, অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেণিং জমা দেইনি। জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী দুর্নীতিগ্রস্থ এই কর্মকর্তা এখন গলাচিপায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধাও দিচ্ছেন। রাঙ্গাবালীতে থাকাকালীন তৎকালীন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুনের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন। ৫ আগষ্টের পরে গলাচিপায় এসে আবার নতুন করে দুর্নীতি শুরু করেছেন। নিজের ইচ্ছামতো সরকারি অর্থ খরচ করছেন, লুটপাটও করছেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইউএনওর অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দেন শিক্ষার্থীরা ।
এসময় বক্তব্য রাখেন গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ওয়াফা, গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা, গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম এবং বরিশাল মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম মুন্না।
এব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের কোনটাই সত্য নয়। আমার সঙ্গে তাদের সম্পর্কও খারাপ না। কি জন্য তারা এগুলো করে বুঝতে পারছি