রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বহুল আলোচিত বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই সভায় দেশব্যাপী প্রায় চার হাজার নেতা অংশ নিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় যুক্ত হচ্ছেন। সভার সভাপতিত্ব করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়েছেন।
বর্ধিত সভার জন্য সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকায় বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের নেতাদের জন্য নির্দিষ্ট আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানাতে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
বর্ধিত সভার সূচনা হয় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মাধ্যমে গৃহীত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভার অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য হলো 'সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র'। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, দলীয় ঐক্য এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়।
সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত আছেন।
তৃণমূলের নেতাদের মতামতের গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই বক্তব্যের ভিত্তিতে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
সভায় বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে। দলীয় ঐক্য সুসংহত করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এই কর্মসূচির ভিত্তিতে বিএনপি তার পরবর্তী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে চায়।
দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই বর্ধিত সভা বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে এই সভার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।