বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বিএনপির বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের জনগণ অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর মনে করা হয়েছিল, ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটবে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে আসছে। দল হিসেবে আমরা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছি। কিন্তু এখনো আমরা গণতন্ত্রের সুনিশ্চিত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছি না।”
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, “দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অবিভক্ত বাংলার বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের নাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার মতো অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, যা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।”
বর্ধিত সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। সভায় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বর্ধিত সভার মূল এজেন্ডাগুলোর মধ্যে ছিল দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করা।