পড়া-লেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিভা রানীর জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

এফএনএস (প্রহলাদ মণ্ডল সৈকত; রাজারহাট, কুড়িগ্রাম) : : | প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:০১ পিএম
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিভা রানীর জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিভা রানীর(১৫) ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। বাবা হারানো একমাত্র মেয়ের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে অসহায় মা অনিতা রানী বিপাকে পড়েছে। ফলে অসহায় প্রতিভা রানীর পড়া লেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

 জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের বাউন্ডারীর পাশেই প্রতিভা রানীর বাড়ি। বাবা পুলিশ সদস্য থাকাকালীন ৮ বছর বয়সেই প্রতিভার দুই চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েকবার চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হলেও দৃষ্টি ফিরে পায়নি মেধাধী শিক্ষার্থী প্রতিভা রানী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিভা রানীর মা অনিতা রানী বলেন, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় হঠাৎ করে তার দু’চোখের পাওয়ার কমে যায়। এতটাই কমে যায় যে, সে আর দেখতে পায় না। বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হয় পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক ৫শত পাওয়ারের লেন্স চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তখন থেকেই প্রতিভা রানী চশমা ব্যবহার করে কোন রকমে দেখতে পান। তারপরও তার পড়াশুনা থেমে থাকেনি। সে রাজারহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন বলে জানা গেছে। প্রতিভা জানান,  দুই বছর আগে বাবা মারা যান। তখন থেকে সংসারের ঘানি মা টানছেন। মা একেবারে বেকার। এখন বাধ্য হয়ে  রাজারহাট বাজারে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করছেন। আমি চশমা খুললে আর কিছুই দেখতে পাই না। এক বছর আগে রাজারহাট উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে আমার প্রতিবন্ধীর সকল কাগজপত্র দিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আর কোন সংবাদ পাইনি। অতি কষ্টে মাসহ আমি দিনাতিপাত করছি। কষ্ট করে লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছি। 

রাজারহাট উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী খুঁজে পাই না। অফিসের পাশেই রয়েছে আমার জানা ছিল না। প্রতি মঙ্গলবার প্রতিবন্ধীদের আবেদন জমা নেয়া হয়। আবেদন জমা দিলে বিষয়টি গুরত্বের সাথে দেখবো। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান বলেন, উপজেলায় কোন কোন প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আসে নাই তথ্য পেলে সে গুলো নিয়ে কাজ করা হবে।  


0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW