কীর্তনখোলা-কালাবদর নদীর মোহনায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীর পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম জালিস মাহমুদ। তিনি ভোলায় একটি বেসরকারি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে বসে নিহত জালিসের সহকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা শেবাচিম হাসপাতালে এসে মরদেহ দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মনসুর আহমেদ বরগুনা সদরের বাসিন্দা ও ভোলার দৌলতখান থানার পুলিশ কনস্টেবল। সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের সংযোগস্থল জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় বাল্কহেডের সাথে যাত্রীবাহি স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। রাহাত নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্পিডবোট দুর্ঢ়টনার পর পরই দ্রুত ট্রলার নিয়ে তারা ছয়জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এছাড়া লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি স্পিডবোটে দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশাল নগরীর ডিসি ঘাটের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় তিনজন যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বরিশাল সদর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় একজন শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তাদের উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এবং নৌ-পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।